যোগাযোগঃ- পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদটিতে প্রধানত দুই ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। যথাঃ-
০১. স্থল পথ
০২. নৌ-পথ।
স্থল পথঃ- আমাদের পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নটিতে যে স্থল পথ রয়েছে তা সাধারণত তিনটি ভাগে বিভক্ত। যথাঃ-
০১. পাঁকা সড়ক
০২. আধা পাঁকা সড়ক এবং
০৩. গ্রামীণ সড়ক।
পাঁকা সড়কঃ- আমাদের পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নটির প্রধান সড়ক পাঁকা। এই সড়ক পথে হালকা, ভারি এবং মাঝারি ধরণের যানবাহন চলাচল করে। এই সড়কের মাধ্যমেই, উত্তরে সখিপুর থানার চর কুমারিয়া ইউনিয়ন, ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়পুর ইউনিয়ন, দক্ষিণে গোসাইরহাট উপজেলার গোসাইরহাট ইউনিয়ন, পূর্বে গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়ন, পশ্চিমে ডামুড্যা পৌর সভা ও দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে (নৈঋত কোণে) শিধলকুড়া ইউনিয়ন এবং উত্তর-পশ্চিম কোণে (বায়ু কোণে) দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সংযোগ স্থাপন হয়েছে ।
আধা পাঁকা সড়কঃ-আমাদের পুর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের অভ্যন্তরিণ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য যে সড়ক ব্যবহার করা হয় তার অধিকাংশ সড়কই আধাপাকা বা ইটের সলিং দ্বারা নির্মিত। এই সড়ক গুলোর মাধ্যমে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের এক ওয়ার্ডের সাথে অন্য ওয়ার্ডের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং মানুষের মধ্যে আম্তীয়তার সম্পর্ক আরো উন্নত করেছে। সেই সাথে জনগনের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতেও সাহায্যা করেছেে এই সড়ক গুলো।
গ্রামীণ সড়ক- গ্রামীন সড়কটিও আমাদের জন জীবনের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই কম বেশি এই সড়কের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। এই সড়ক গুলোই আমাদের প্রাচীন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করে আছে। তবে দিন দিন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই সড়ক গুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। এই সড়কের মাধ্যমেই আমাদের ইউনিয়নের লোকজন তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে আধাপাঁকা রাস্তা এবং পাঁকা রাস্তায় আসেন।
নৌ-পথঃ- আমাদের পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে চর ভয়রা নদী প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর মাধ্যদিয়ে নৌ-পথে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এই নদীর দুই ধারে অসংখ্য মানুষের বসবাস। তাদের মধ্যে অনেকেই এই নদীটিকে কেন্দ্র করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।এই নদীতে নানান ধরণের মাছ আহরনের মাধ্যমে জেলেরা তাদের জীবন ধারন করে আসছে । তবে প্রতি বছর বর্ষাকালে এই নদীটি তার ভয়াল দৃশ্য মানুষের নিকট উন্মোচন করে । তখন আনেক কৃষকের শেষ সম্বল কৃষি জমি ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এতে প্রতি বছর বেশ কিছু পরিবার নিঃশ্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম।
তবে এই নদীটি এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বেশ অবদান রেখে চলছে। সেই সাথে এই এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্যকে এক নৈশর্গিক রূপে পরিনত করেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস